মাজহারুল ইসলাম: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারকের সঙ্গে আইনজীবীদের অশালীন ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্ট এ মন্তব্য করেন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া বারের তিন আইনজীবী আদালতে উপস্থিতি ছিলেন। বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বলেন, অবস্থা এমন চলতে থাকলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের নিষিদ্ধসহ কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হবেন আদালত। 

তিন আইনজীবীর পক্ষে আবারো সময় চাইলে হাইকোর্ট বলেন, বারের সভাপতি হোক আর সাধারণ আইনজীবী- কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। বার কাউন্সিল যদি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তবে হাইকোর্টে তাদের আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হবে। 

এর প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি হাইকোর্টকে জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবীরা কোর্টে ফিরেছেন। তবে হাইকোর্ট ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জবাব দিলে দেবেন, না দিলে আমরা আমাদের মত আদেশ দেবো। কারণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে অচল করেছে আইনজীবীরা। তা চলতে পারে না। পরে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করে হাইকোর্ট।

আদালতে উপস্থিত বিটিআরসি প্রতিনিধি জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গত ১৭ জানুয়ারি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ ও অশালীন আচরণের ঘটনার ৮টি ফেসবুক ও ৫ টি ইউটিউব ভিডিও সরানো হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব